বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে কার্টুন আঁকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আর্ট সোসাইটি থেকে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহা তাহসিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 

জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হারুন-উর-রশিদের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে প্রক্টর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিএনপি, জামায়াত-শিবির আখ্যা দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তা অস্বীকার করেন।

ওই ঘটনার পরদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কথোপকথন নিয়ে একটি কার্টুন এঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহা তাহসিন।

রোববার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্যের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারহা তাহসিনের আঁকা ব্যঙ্গচিত্রে প্রশাসন বিব্রত হয়েছে, সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে আপনাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে কার্টুনিস্ট ফারাহ তাসিন বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের কথোপকথন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর আমি কার্টুনটি এঁকে গত মাসের ২০ তরিখ আমার ফেসবুকে পোস্ট করি। কার্টুনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িলে পড়লে ২০ সেপ্টেম্বর সংগঠন থেকে আমাকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমি যথাযথ কারণ উল্লেখ করে সংগঠনের কাছে আমার জবাব পাঠাই। তারপরও আমাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘এই আর্ট ক্লাবের স্লোগানে আছে ‘স্বাধীনতা’। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ট সোসাইটির আমাকে আমার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। কারণ আমি প্রশাসনকে কার্টুন এঁকে বিব্রত করেছি। সংগঠন তার আর্টিস্টের পক্ষে না থেকে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। সংগঠনের কাছ থেকে কোনো সাহায্য না পেলে আর্টিস্টরা সংগঠনে কেন যাবে?’

কার্টুনটিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো চাপ ছিল কিনা এমন প্রশ্নে সংগঠনটির সভাপতি জাহান রিপা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

তবে তিনি বলেন, সংগঠন কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় নেবে না। সংগঠনের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এখানে প্রশাসনের বিব্রত হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না, আমাকে যদি ফারহা তাহসিন অভিযোগ করে আমি বিষয়টা দেখব’।

দেশ রূপান্তর

মন্তব্য করুন