বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশ্বা গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুরা পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক দীপক কুমার তালুকদার (১৯) ও পিযুষ তালুকদার (২০) নামে দুজনকে গ্রেফতার শেরপুর করেছে থানা পুলিশ।

গণধর্ষণের ঘটনার ১১দিন পর গত শুক্রবার রাতে শেরপুর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ও স্কুল ছাত্রীর পিতা। ওই ছাত্রী বিশ্বা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসছিলো। ওইদিন বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে একই গ্রামের তার বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নিজের চাচাত ভাই দীজেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে দীপক কুমার তালুকদার কৌশলে ওই ছাত্রীকে (চাচাতো বোন) ডেকে তার ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার বন্ধু গিরেন্দ্রনাথ তালুকদারের ছেলে পিযুষ তালুকদার ও অমল চন্দ্র সরকারের ছেলে সবুজ কুমার সরকার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার কথা তার বাবা-মা সহ আত্মীয়স্বজনকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে গিয়ে শুধু কান্নাকাটি করতে থাকে। কান্নাকাটি দেখে জ্বীন ধরেছে বা গ্রাম্য ভাষায় উপড়া রোগ হয়েছে মনে করে তার পরিবার গত কয়েকদিন যাবত তাকে কবিরাজ দেখার পাশাপাশি মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় ওই কিশোরী তার মা ববিতা রানীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী-২০০৩)এর ৯(৩)৩০ দন্ডবিধিতে মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষনের সঙ্গে জড়িত দীপক কুমার তালুকদার ও পিযুষ তালুকদারকে গ্রেফতার করেন। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

মানব কণ্ঠ

মন্তব্য করুন