বরিশালের উজিরপুরের সাতলা এলাকায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই বখাটের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণ শেষে ওই ছাত্রীর মুখে পলিথিন বেঁধে একটি ডোবায় বাঁশ পুঁতে তাকে বেঁধে রাখে তারা। এ ঘটনায় ড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জল্লা ইউনিয়নের কুড়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৩)  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  (১৪ নভেম্বর) একটি হাঁস খুঁজতে পাশের একটি মাছের ঘেরে গেলে ওই ঘেরের দুই শ্রমিক তাকে আটকে রাখে। পরে ওই রাতে তাকে একটি মুরগির খামারে নিয়ে দুই শ্রমিক পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তার মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে একটি ডোবায় বাঁশ পুঁতে ওই বাঁশের সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখে তারা।  রাতে পরিবার ও এলাকাবাসী খুঁজতে খুঁজতে মাছের ঘেরে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ডোবায় বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার এবং অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে। রাতেই পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে তাদের হেফাজতে নেয় এবং অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো নূরুল ইসলাম (১৮) ও তরিকুল ইসলাম (১৯)। তাদের মধ্যে তরিকুলের বাড়ি গোপালগঞ্জে এবং নূরুল ইসলামের বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর বিচার দাবি করেছেন ধর্ষিতা এবং তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা। আর কোনো মেয়ের যেন এই পরিণতি না হয় সে জন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন ধর্ষিতা ও তার মা। এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গতকাল শেরেবাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করেছে উজিরপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

বিডি প্রতিদিন

মন্তব্য করুন