সুনামগঞ্জে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের শিষ্য রণেশ ঠাকুরের চল্লিশ বছর ধরে সাধনার গানের বই ও বাদ্যযন্ত্রসহ গানের ঘরটাই জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গানবাজনা বিরোধী ধর্মীয় সন্ত্রাসীরা এ নাশকতার কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
১৮ মে সোমবার বিকেলে দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ।
এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, আগের রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে বাউলের দোতারা, বেহালা, হারমোনিয়ামসহ গান গাওয়ার সব যন্ত্রপাতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরের একপাশে দুটো ভেড়া ছিল। এগুলো বের করে দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।
স্থানীয়রা জানান, রণেশ ঠাকুরের বসত ঘরের উল্টোদিকে তার বাউল গানের ঘর। ওখানেই তার ও শিষ্যদের বাদ্যযন্ত্র থাকত। রবিবার ১টার পর রণেশ ঠাকুরের বড় ভাইয়ের স্ত্রী আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকেন।
অন্যরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন গানের ঘর পুড়ে যাচ্ছে। পরে আশপাশের লোকজন চেষ্টা করে আগুন নেভালেও পুরো ঘরই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রণেশ ঠাকুর জানান, গ্রামের বা আশপাশের কারও সঙ্গেই তার কোন শত্রুতা নেই। কারা যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি বুঝতেই পারছেন না।
বাউল সম্রাট শাহ্ আবদুল করিমের ছেলে নূর জালাল জানান, আগুনে রণেশ ঠাকুরের প্রায় চল্লিশ বছরের সাধনার সব যন্ত্রপাতি, গানের বই-পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।