ভোলার দৌলতখানে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ধর্ষক বাছেদকে ভোলা জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে দপ্তরি বাছেদ আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। এতে আমি রাজি ছিলাম না। ঘটনার সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাকে ঘরের অঙ্গীনা থেকে মুখ চেপে ওই বিদ্যালয়ের ৩য় তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে।
বাছেদ দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরশুভী গ্রামের শাহ আলম মাঝির ছেলে। সে ৪৬নং কালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরি।
স্থানীসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দপ্তরি বাছেদ তার বিদ্যালয়ের ৩য় তলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের হাতে-নাতে ধরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ধর্ষিতার বাবা জানান, জীবন-জীবিকার নির্বাহের জন্য আমি শ্রমিকের কাজ করি। দুদিন পূর্বে আমি বাড়িতে এসেছি। আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এর সঠিক বিচার চাই। একই মত পোষণ করেছেন মেয়ের মা।
এ ঘটনায় ৪৬নং কালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান মো. আব্দুল্লাহ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোনে জানানো হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহার বেপারী জানান, বাছেদ আমার বিদ্যালয়ের একজন দপ্তরি। স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে আটক করলে সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর থানা থেকে পুলিশ আসে। বাছেদ এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এই ধরণের একাধিক মেয়েলি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি তদন্ত মো. সাদিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে ধর্ষক বাছেদকে জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।