ভোলার বোরহানউদ্দিনে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীকে আটকে রেখে পালাক্রমে সপ্তাহ ব্যাপী ধর্ষণ করে দুলাল নামের ট্রাক চালক। এই ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। ২৭শে নভেম্বর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ভিকটিমের ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার খবরে ওই ছাত্রীর মা হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

ভিকটিমের পরিবার জানায়, তাদের প্রতিবেশী ইয়ানুর বেগম ৫ম শ্রেনীতে পড়া মেয়েকে একটি ঘরে আটকে রেখে ট্রাক ড্রাইবার দুলালকে দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে, এরা একাধিকবার চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার চাইলে তারা কোন প্রকার প্রতিকার না করে উল্টো চুপ থাকার জন্য ভয় দেখায়। ধর্ষণের শিকার শিশুটির শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ২৭ নভেম্বর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা করে ৭ মাসের গর্ভবতী  বলে জানান। এ খবর শুনেই মা নাজমা বেগম হার্ট অ্যাটাক করে,পরে ভোলা সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এদিকে ধর্ষক দুলালকে ২৮ নভেম্বর দিবাগত রাতে লালামোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির গ্রেপ্তার করলেও ধর্ষণে সহয়তা করা বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আজিজুল এর স্ত্রী  ইয়ানুর আজ দু’দিন ধরে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে  লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান  বলেন, আমি বোরহাউদ্দিন থানার ওসির সাথে কথা বলে দ্রুত  ধর্ষককে আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছি। লালমোহান থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, ধর্ষকের  সহযোগী মহিলা ইয়ানুর বেগম পালিয়ে গেলেও  তাৎক্ষনিকভাবে  বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ধর্ষক দুলালকে লালমোহন থানা পুলিশ আটক করে।
তিনি  আরো জানান, ধর্ষক দুলালের বাড়ি  লালমোহনে হওয়ায় এখন লালমোহন থানার আওতায় আছে। ঘটনাস্থল বোরহানউদ্দিন হওয়ায় আমরা ধর্ষককে বোরহাউদ্দিন থানায় হস্তান্তর করবো।

বোরহাউদ্দিন থানার ওসি ম এনামুল হক বলেন, ধর্ষক দুলাল এখন থানা হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষকের সহযোগী ইয়ানুর বেগমকে আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মানব জমিন

মন্তব্য করুন