নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে শুক্রবার মধ্যরাতে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি জাকির হোসেন জহির গতকাল বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক নবনীতা গুহের আদলতে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছাত্রদলের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি হারুন আর রশিদ, আবদুর মান্না, মো. সেলিমকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মো. হাছান। তাদের সবার বাড়ি ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে। এ নিয়ে ধর্ষণ মামলায় মোট চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে নবগ্রামে ঘরের সিঁধ কেটে তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এই ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত জহির ও সন্দেহজনকভাবে ভিকটিমের দেবরসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি নতুন করে গ্রেফতারকৃত তিনজন নিরপরাধী। রবিবার সকালে নবগ্রাম নিমতলা সমিতির বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে নারী-পুরুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করে বক্তব্য রাখেন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, সমিতি বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হক, নবগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পলাশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা নিরপরাধ লোকজনকে হয়রানি না করে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে অবিলম্বে মূল আসামিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।