যমুনা নদীর চরে ছাগল আনতে গিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ীতে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ধর্ষণের সাথে জড়িত মমিন হোসেন মুন্নাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ জুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী বাড়ির পাশে যমুনা নদীর পাড়ে কাশবন থেকে ছাগল আনতে যায়। এসময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী মমিন হোসেন মুন্না নামে এক যুবক তাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে মুন্না পালিয়ে যায়।

এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিকে ধর্ষক মুন্না ওই কিশোরীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা চাপসৃষ্টি করছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। এই ঘটনায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী পিতা বাদী হয়ে মমিন হোসেন মুন্নাকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মুন্না পলাতক রয়েছে।

এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পিতা বলেন, আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে আমি তার দৃষ্টান্ত শাস্তি চাই। মামলাটি আপোষ মিমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু আমি আপোষ করতে রাজি না। দেশের মানুষ দেখুক ধর্ষণ করলে কি শাস্তি হয়। তার শাস্তি দেখে যাতে অন্য কেউ এধরনের ঘটনা না ঘটাতে পারে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, ঘটনার সাথে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুড়ী ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামের অবদুল আমীরুল ইসলামের ছেলে মমিন হোসেন মুন্না জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

নিউজ ২৪

মন্তব্য করুন