নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবিলী ইউনিয়নের চর মধ্য বাগ্যা গ্রামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে আজ শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃত হেঞ্জু মাঝি (২৯) একই গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, ‘পুলিশের তদন্ত এবং ভুক্তভোগী ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর থেকে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আজ ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।’
তিনি আরও জানান, ‘তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
উল্লেখ্য, সুবর্ণচরের ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর পাংখারবাজার ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিতে দেখে ওই নারীকে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে রাত ১২টায় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। পরে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই নারী ও তার স্বামীকে গালাগালি করে। এরপর অস্ত্র দেখিয়ে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে সবাই মিলে ধর্ষণ ও বেদম মারধর করে। পরে ওই নারীকে গলাকেটে হত্যারও চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পরের দিন প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।
ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যা।
সূত্র: bdnews