কিশোরগঞ্জে রেলওয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত আটটায় রেলস্টেশনের ভিআইপি রেস্টহাউসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মাহমুদুল হাসান ওরফে সাগর। তিনি রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মচারী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই মাহমুদুল পলাতক। ওই ছাত্রী তাঁর পরিচিত।
পুলিশ ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় মাহমুদুল তাঁর বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ওই ছাত্রীকে রেলস্টেশনের দ্বিতীয় তলার ভিআইপি রেস্টহাউসে নিয়ে যান। তিনি ওই ছাত্রীকে রেস্টহাউসের টয়লেটে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেন।
এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে জিআরপি থানা-পুলিশ ও স্টেশনের লোকজন সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। মাহমুদুল জানালা দিয়ে পালিয়ে যান।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার জয়নাল মিয়া বলেন, লোকজনের হইচই শুনে তাঁরা ঘটনা জানতে পারেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে নিয়ে মাহমুদুলকে রেস্টহাউসে ঢুকতে দেখা যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, গতকাল রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে মাহমুদুলের নামে রেলওয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মাহমুদুলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।