কুমিল্লার তিতাসে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মোল্লাকে (৫০) সুনামগঞ্জের টেকেরহাট দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।

 

বুধবার ২৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে সুনামগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তিতাস থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

তিতাস থানায় ওসি সুদীন চন্দ্র দাস জানান, ২৫ জুন সকালে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী তার নিজ বাড়ির পেছনে পাকা রাস্তায় যাচ্ছিল। একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাছে পৌঁছলে উক্ত বিল্ডিং নির্মাণের কন্ডাক্টর আব্দুল কাদির মোল্লা (৫০) প্রতিবন্ধীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ওই কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে তার মা ও চাচিকে বিষয়টি জানায়। পরে প্রতিবেশীরা কাদির মোল্লাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারপিট করলে এক পর্যায়ে ধর্ষক গ্রামবাসীর বিচার মানবে বলে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে গণধোলাই থেকে নিজেকে রক্ষা করে এবং পরবর্তীতে পালিয়ে যায়।

ওসি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক কাদের মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তিতাস থানায় একটি মামলা করেন। পরে তিতাস থানা পুলিশের একটি টিম এক অভিযান পরিচালনা করে সুনামগঞ্জের টেকেরহাট হতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করে।

তিনি জানান, কাদের মোল্লা সুনামগঞ্জের টেকেরহাট দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, আরেকটু সুযোগ পেলেই তিনি পালিয়ে যেতেন । তাকে গ্রেফতার করতে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন