নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো- উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক, মাসুদ, ওবায়দুল হক, আব্দুল হক মাস্টার ও ইয়াছিন।

 

 

এদিকে, শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ১১ জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, সাতদিন আগে ওই গৃহবধূ পারিবারিক কলহের জেরে উপজেলার বিজবাগ ইউনিয়নের স্বামীর বাড়ি থেকে তার বাবার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে চলে আসেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বামীর বিরুদ্ধে তার বন্ধু দিদারের কাছে অভিযোগ জানাতে ফেনী জেলা শহরে যান। পরে দিদার তাকে স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে দিতে রাতে সেনবাগ নিয়ে আসেন। স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে দিদার গৃহবধূকে ওই এলাকার এক নির্জনস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইউপি সদস্যসহ তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী স্থানীয় অপর ইউপি সদস্য ছিদ্দিককে অবহিত করে। পরে স্থানীয়ভাবে ডাকা সালিশে স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে মারধর ও চরিত্রহীনা বলে আখ্যায়িত করে এবং তাকে কোম্পানীগঞ্জে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা আরও জানান, পরে বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূ বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ রাতেই ইউপি সদস্যসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন