কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন (৪০) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ মে) ভোরে এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়ার কোনাখালী মরংঘোনা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি দু’টি বন্দুক, কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আবুল ফারুক, দুই কনস্টেবল সুবল ও সুমন আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত অটোরিকশাচালক সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার চম্পা বেগম নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, এর আগে সোমবার (১১ মে) সকালে স্থানীয় জনতা চম্পা ধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সাজ্জাদকে নিজ এলাকা পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখের কিল্লা ঘোনা থেকে গ্রেফতার করে পেকুয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে র্যাব। সে ওই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। পরে তাকে চকরিয়া থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চম্পাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি মতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে ধর্ষক সাজ্জাদের সহযোগী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সাজ্জাদের সহযোগিরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ, দেশীয় তৈরি দুটি এলজি, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি ও ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদেরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।