নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মনির হোসেন (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। একাধিকবার শ্লীলতাহানি এবং পরবর্তীতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

 

যার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর মেয়েকে সে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাজের সূত্রে অভিযুক্তের স্ত্রী ২ ছেলে ও এক মেয়েকে (১৪) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীতে বসবাস করে আসছিলেন। চলতি বছরের মার্চে করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারির কারণে আরোপিত লকডাউনে তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।

এরপর থেকে প্রায়ই অভিযুক্ত মেয়েটির শ্লীলতাহানী করতো। ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি কাউকে বললে খুন করার হুমকি দেয় সে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে রাজধানীতে ফিরে যায়। রাজধানীতে ফিরে সে মায়ের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। সব শুনে মেয়েটির মা আবার গ্রামে ফিরে আসেন এবং শাশুড়ির মুখে (অভিযুক্তের মা) বর্ণনা শুনে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদী জানান, “মেয়ে তার বাবার ভয়ে চুপ ছিলো। আমি বাড়িতে না থাকায় বিষয়টি খুলে বলার সাহস পায়নি।”

এদিকে, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- অভিযুক্ত মনির আগে থেকেই এলাকায় মাদকগ্রহণ ও ইভটিজিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রকিব জানান, ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগ এবং সার্বিক বিষয় যাচাই করে মামলা নেওয়ার পর সোমবার ভোরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সে মেয়েকে যৌন হেনস্থা করতো। সম্প্রতি মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্ত বাবার সামনেও সে পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা বলেছে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন