ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা সালিশে মীমাংসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে অভিযুক্ত বখাটে তাদের (ওই ছাত্রীর) বাড়ি ঘরে যাবে না মর্মে নন-স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেন সালিশকারীরা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। বখাটের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যম নিচিন্তা গ্রামের একটি বাড়িতে। অভিযুক্ত বখাটে একই গ্রামের পাশের রেয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাড়ির মুত আলী আহাম্মদ মাস্টারের ছেলে মো. জিয়া।

বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীদের উঠানে লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশে মেয়ের মতামত নেওয়ার পর অভিযুক্ত জিয়াকে মারধর করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না মর্মে স্ট্যাম্পে মুচলেকা নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর মা জানান, তিনি পারিবারিক কাজে উপজেলা সদরে ও তার ছেলে কাজে গেলে মেয়ে ঘরে একা থাকে। বখাটে জিয়া ঘরের পূর্ব পাশের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে মেয়েকে ঝাপটে ধরতে চাইলে মেয়ে চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে যায়।

জিয়া অপরাধ স্বীকার করলে স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয় বলে সালিশে উপস্থিত কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হারুন জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিয়াকে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক বলাতেই ক্ষেপে যান। জিয়া একপর্যায় বলেন, মেয়ের পরিবারের কাছে দুই হাজার টাকা পাইতেন, সেই টাকা চাইতে গিয়েছিলেন। মুচলেকা দেওয়ার কথাও সে স্বীকার করেন।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বিষয়টি শোনেননি বলে জানান।

খোলা কাগজ

মন্তব্য করুন