জামালপুরের বকশীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ২৬ জুন বুধবার রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরুক আহমেদ জানান, ঘটনার শিকার শিশুটি বকশীগঞ্জ উপেজলার বগারচর ইউনিয়নের দক্ষিণ খাসেরগ্রাম এলাকায় এক কৃষকের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তাকে একই গ্রামের সুরুজ্জামালের ছেলে শাকিল মিয়া (১৬) ধর্ষণ করে।

২৬ জুন বুধবার রাতে ঘটনার সময় ওই শিশুর বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না, রাত ৮টার দিকে মেয়েটি তার ঘর থেকে বের হয়ে পাশের বাড়িতে যাচ্ছিলো। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের সুরুজ্জামালের ছেলে শাকিল মিয়া (১৬) ও মোকছেদ আলীর ছেলে আপন মিয়া (১৪) তার মুখ চেপে ধরে টেনে হিচড়ে জোর করে বাড়ির পেছন তুলে নিয়ে যায়। পরে শাকিল মিয়া (১৬) স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও আপন মিয়া (১৪) তাদের পাহারা দেয়।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মাহবুব আলম বলেন, ‘ধর্ষণের পর মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তার পরিবার মান সম্মানের ভয়ে ধর্ষণের কথা প্রকাশ না করে মামলা করেনি। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে গত ২৯ জুন জুন দিবাগত রাতে বকশীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৩০জুন রবিবার রাতেই দুই কিশোরকে আটক করে।

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আটক দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জামালপুর জেলা জজ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জামালপুর চীফ জুডিসিয়াল কোর্টের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহেদুজ্জামান আসামি শাকিল মিয়া ও আপন মিয়াকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন