ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ১০ মে শুক্রবার রাতে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে মাঠের ড্রেনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। আজ শনিবার ভোরে মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকেরা পড়ে থাকা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই কিশোরীর বাবার অভিযোগ, গতকাল রাতে কিশোরীকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে যান দুই যুবক। পরে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। দুই যুবকের একজনকে চিনতে পেরেছে কিশোরী।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল রাত নয়টার দিকে পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে যায় তাঁর মেয়ে। সে বাড়ি ফেরার পথে ওত পেতে থাকা দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। ধর্ষণের পর মেয়ের হাত-পা ও মুখ বেঁধে মেয়েকে একটি শ্যালো মেশিনের পানিপ্রবাহের ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যান।
কিশোরীর বাবার ভাষ্য, মেয়েকে যখন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে বাড়ি এসে জানতে পারেন, মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি। ভোরে গ্রামের লোকজন খবর দেন, তাঁর মেয়ে মাঠের মধ্যে পড়ে আছে। ড্রেনের মধ্যে মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে ভেবেছিলেন, মেয়েটি মারা গেছে। পরে দেখেন, মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে মেয়েটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। দুজনের মধ্যে একজনকে সে চিনতে পেরেছে বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। মেয়েটিকে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল, সেটাও শুনেছেন। বিষয়গুলো তাঁরা তদন্ত করছেন। থানা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। এরপর থানায় মামলা হবে। দুই যুবককে আটকের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।