নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ। ২১ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলার ১ নম্বর চরজব্বার ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় চরহাসান গ্রামের আবদুল হক কাজীর (৫৫) বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
ঘটনাটি মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ফজিলাতুন নেসার বিরুদ্ধে। বিচার না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী পাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে খেলাধুলা করছিল। এ সময় চরহাসান গ্রামের দায়মুদ্দি কাজীর ছেলে আবদুল হক কাজী তাকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে তার ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করারও হুমকি দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে তার পরিবার স্থানীয় চরজব্বর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ফজিলাতুন নেসাকে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় না দিতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম মাস্টারের কাছে ঘটনাটি জানালে তিনি রাতেই চরজব্বার থানায় শিশুটি ও তার পরিবারকে পাঠিয়ে দেন। বাবা বাদী হয়ে আব্দুল হক কাজীকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে কল করলে তার স্বামী ফোন রিসিভ করে জানান, তার স্ত্রী বাড়িতে নেই, পরে কথা বলবেন।
চরজব্বার ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, নারী ইউপি সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলে শিশুটির পরিবারকে মামলা করতে দেননি। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনা জানার পর শিশুটির পরিবারকে চরজব্বার থানায় পাঠিয়ে দিয়ে ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেন।
চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল বলেন, শিশুটি বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর আবদুল হক কাজী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।