নড়াইলের লোহাগড়ার শতদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা খানম(১৩) যৌন নিপীড়নের পর চিকিসাধীন অবস্থায় ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে মারা গেছে।

ইতনা ইউনিয়নের উত্তর পাংখারচর গ্রামে গত রবিবার যৌন নিপীড়নের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রধান আসামি সাব্বির শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর দুই আসামি নবীর শেখ ও সজিব শেখ পলাতক আছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার উত্তর পাংখারচর গ্রামের কামাল শেখের ছেলে সাব্বির শেখ ওরফে ইমাম শেখ (১৮) মাঝে মধ্যে স্কুলে যাবার পথে শতদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা খানমকে উত্যক্ত করতো। ২৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফেরার পথে উত্তর পাংখারচর গ্রামের বখাটে মোঃ সাব্বির শেখ ওরফে ইমাম শেখ এবং তার সহযোগী একই গ্রামের নবির শেখ (২১) ও সজিব শেখ (২২) ওই ছাত্রীর পথরোধ করে ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।

ছাত্রীর পরিবার ও গ্রামবাসীরা জানায়, যৌন নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে ওই ছাত্রী গত রবিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরে ঘরের ফ্যানের সাথে নিজের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন ছাত্রীকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার বাদী মেয়ের বাবা মোঃ সেলিম সরদার অভিযোগ করেন, ওই বখাটে ও তার পরিবারকে বারবার সাবধান করেছি কিন্তু থামেনি। শুক্রবার বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে খাদিজা খানম মারা যায়।

পুলিশ জানায়, এঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে গত সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২২।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাব্বির শেখকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো জানান, লাশের ময়নাতদন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্কুলছাত্রীর নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে ।

ইত্তেফাক

মন্তব্য করুন