পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এইচ এম হাবিবুর রহমান নামে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন আটোয়ারী থানার ওসি ইজারউদ্দিন।

 

গ্রেফতার এইচ এম হাবিবুর রহমানের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামে। হাবিবুর পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে বাবার সাথে দেখা করিয়ে দেবার কথা বলে আইনজীবী হাবিবুর ওই ছাত্রীকে তার খালার বাড়ি থেকে আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন কালিকাপুর গ্রামের সুশীল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে সুশীল ও তার স্ত্রী শুকনির সহায়তায় ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হাবিবুর।

এদিকে সুশীলের বাড়িতে অপরিচিত একটি মেয়েকে নিয়ে আসায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তারা সুশীলের বাড়িতে প্রবেশ করে আপত্তিকর অবস্থায় হাবিবুরকে আটক করে ও ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে তার পরিবারকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে হাবিবুরকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত আইনজীবী এইচ এম হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে সুশীল চন্দ্র ও তার স্ত্রী শুকনিকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানান, হাবিবুরের সুদের ব্যবসা আছে। সেই সূত্রেই ভুক্তভোগী ও সুশীলের সাথে তার পরিচয় রয়েছে। হাবিবুর প্রায়ই ফোনে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করতো বলে জানিয়েছেন তার মা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুজ্জামান বলেন, স্থানীয়রা হাবিবুরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শুক্রবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শনিবার পঞ্চগড়ের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামিকে সোপর্দ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।”

আটোয়ারী থানার ওসি ইজারউদ্দিন বলেন, “আইনজীবী হাবিবুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাবিবুরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী পুলিশ প্রহরায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন