ফরিদপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউসুফ আল-মামুন (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। লালন ফকির (৫৬) নামে অপর একজন আহত। নিহত ইউসুফ নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। আহত লালন ফকির ওই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
২০১৮ সালের ১১ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে আড্ডার সময় মজিদ নামে এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি করেন। এর প্রতিবাদ জানান ইউসুফ আল-মামুন। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে বিতর্কেও ঘটনা ঘটে। এসময় আরও লোকজন এসে ইউসুফকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আমার বড়ভাই সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লালন ফকির ছুটে এলে তাকেও মারধর করা হয়।
সহিংসতাসহ জাতীয় নির্বাচন ২০১৮’র গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার টাইমলাইন
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইউসুফকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত লালন ফকিরকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এ ব্যাপারে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমিরউদ্দিন জানান, আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে শুনেছি চায়ের দোকানে বসে আড্ডার এক পর্যায়ে মজিদ ও ইউসুফের মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নিয়ে বিতর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বিএনপি সমর্থক।