ফেনীর দাগনভূঞায় বিয়ের প্রলোভনে এক নারী শ্রমিককে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে ১ জুন সোমবার সকালে পুলিশ কারখানার মালিক মোহাম্মদ খোকনকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগোবিন্দ গ্রামের মোল্লাঘাট বাজারের হর্স পাওয়ার মশার কয়েল কারখানায় কাজ করতেন ওই নারী শ্রমিক। কাজে যোগদান করার পর থেকেই কারখানার মালিক বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কোরআন ছুঁয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে খোকন দিনের পর দিন ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ওই শ্রমিক অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে গত বছরের ১৯ আগস্ট দাগনভূঞা বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে পরীক্ষানিরীক্ষা করে ওষুধ দেন চিকিৎসক। ওষুধ সেবনের পরদিন রাতে ওই নারী একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এরই মধ্যে কারখানায় যাওয়া বন্ধ করে দেন ওই নারী।
পরে গত সোমবার সকালে মালিক মোহাম্মদ খোকন মোবাইলে ওই নারীকে কর্মস্থলে আসার জন্য বলেন। ফোন পেয়ে কারখানায় যাওয়া মাত্রই দরজা বন্ধ করে অফিস কক্ষে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন খোকন। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অফিসের গ্লাস ভেঙে যায়। পরে ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানার মালিক ও নারী শ্রমিককে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই নারী বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহের চর গ্রামের মৃত আবদুল হালিমের ছেলে ও কারখানার মালিক মোহাম্মদ খোকনকে আসামি করে ধর্ষণ এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ওই নারী বলেন, গত ১৯ মাস ধরে ওই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছি। বিয়ের প্রলোভনে খোকন আমাকে প্রায় সময়ই ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করত। এতে ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ি। কিন্তু ওষুধ সেবনের ফলে আমার গর্ভের সন্তান মারা যায়। আমি খোকনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাগনভূঞা থানার এসআই মো. মুরাদ হোসেন জানান, আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ফেনীতে ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।