বরিশালের মুলাদীতে ভগ্নিপতির ধর্ষণে স্কুলপড়ুয়া শ্যালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ৪ দিনের মাথায় নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন ওই লম্পট।
তবে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আগেই শ্যালিকাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ এবং প্যাদারহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় শ্যালিকাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘরসংসার করার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে আপন দুই বোনকে নিয়ে সংসার করায় স্থানীয়রা তাকে সমাজচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৮ মাস আগে ওই যুবকের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুন্দরী শ্যালিকার ওপর ওই যুবকের কুনজর পড়ে।
ওই যুবকের স্ত্রী জানান, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই তার স্বামী নাবালিকা বোনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময় তাকে নিয়ে আত্মগোপন করে থাকত। কয়েক মাস আগে প্যাদারহাট এলাকায় তার বোনকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকার বিষয়টি জানতে পেরে স্বামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদ সৃষ্টি হয়।
ওই যুবক জানান, প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে আট মাসের মতো সংসার করেছি। কয়েক দিন আগে তাকে তালাক দিয়ে তার ছোটবোনকে বিয়ে করেছি।
কাজিরচর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজি নূর শরীফ জানান, ওই যুবক গত ২৫ এপ্রিল প্রথম স্ত্রীকে খোলাতালাক প্রদান করেছেন এবং ২৯ এপ্রিল তারই ছোটবোনকে বিয়ে করেছেন।
কাজিরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জানান, বড়বোনের খোলাতালাক রেজিস্ট্রি করার ৪ দিনের মাথায় নাবালিকা ছোটবোনকে বিয়ে করা যুক্তিসঙ্গত নয়। বিষয়টি নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।