ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের কথা বলে ২০ বছরের এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণী এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে অভিযুক্ত মো. ফেলা মাতুব্বর (৩০) ঘটনাটি মাত্র ২ লাখ টাকায় ঘটনার মীমাংসা করেছেন। টাকা পেয়ে স্থানীয় কতিপয় মাতব্বর ও সমাজপতি তরুণীর গর্ভে থাকা সন্তানকে নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত দেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে তার গর্ভের সন্তানকে বাঁচানোর জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত ফেলা মাতুব্বর সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামের বাকা মাতুব্বরের ছেলে। ফেলা বিবাহিত।
তরুণীর খালাতো বোন বলেন, আমার খালাতো বোন মাঝে মধ্যেই আমার বাড়িতে এসে থাকতো। একপর্যায় বছর খানেক আগে ফেলার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফেলা। এখন সে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানাজানি হলে আমার বোনকে বিয়ে করার জন্য ফেলাকে চাপ দেওয়া হয়। তবে সে রাজি হয়নি। বরং আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক নুরুল ইসলাম, স্থানীয় মাতবর আবুল খায়ের, বকুল ও সায়েম মোল্যাকে ম্যানেজ করে ধর্ষিতার পরিবারকে মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। পরে ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে কোনও একদিন রাতে ওই প্রভাবশালীরা দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি গোপনে মীমাংসা করে দেন।
এ অবস্থায় ধর্ষিত তরুণী গর্ভের সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর ধর্ষক ফেলা মাতুব্বর বিদেশে চলে গেছেন বলে দাবি করেছেন তরুণীর পরিবার।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, নারানদিয়া গ্রামের এই রকম কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো. সমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।