বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বনী আমীনের বিরুদ্ধে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় তাকে বহিস্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এদিকে অপহরণের ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বরিশাল বিমান বন্দর থানার ওসি জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক বনী আমীনের বিরুদ্ধে। মামলায় উল্লেখ করা হয় নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। সেখান থেকে কুয়াকাটর একটি হোটেলে রেখে পরে ঝালকাঠি নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে সোমবার ভোর রাতে ঝালকাঠি শহরের একটি বাসা থেকে তরুণিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বনী আমীন পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে ওই ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। পুলিশ আরো জানায়, আগামীকাল বুধবার শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে। এদিকে এঘটনায় ছাত্রলীগ থেকে বনী আমীনকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আরো জানান, বনী আমীন কোন অপরাধ করলে উপযুক্ত শাস্তি তাকে পেতে হবে। বনী আমীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী এবং তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী কল্যান পরিষদের সভাপতি। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তার বাড়ি বরিশাল নগরীর গনপাড়া এলাকায়। নির্যাতিতার বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলায়। নির্যাতিতা তার পূর্ব পরিচিত ছিল। সেই সূত্র ধরে তার সাথে সোমবার তাকে অপহরণ করা হয়।