বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। গর্ভপাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ছাত্রীর বাবা জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামে তাদের প্রতিবেশী সাধন সরকার (৩৫) তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধারাবাহিক ভাবে ধর্ষণ করে। কিন্তু মেয়ে এ বিষয়টি গোপন রাখে। এদিকে, সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও আমরা তা বুঝতে পারেনি। গত রবিবার সাধন সরকার, বিপুল বিশ্বাসসহ কয়েকজন তার মেয়েকে নিয়ে গোপালগঞ্জ বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে আসার পর থেকে মেয়ে অসুস্থ। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে মেয়ে মা-বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে। এদিকে, মেয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাধন সরকার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের রবীন সরকারের ছেলে। বিবাহিত সাধন সরকারের এক মেয়ে আছে। পেশায় সে নির্মাণ শ্রমিক।

চিতলমারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জিয়াউল আদনান রুমেল জানান, ওই ছাত্রীকে ইতোপূর্বে গর্ভপাত করানোর আলামত পাওয়া গেছে। ছাত্রীটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল রঞ্জন হাজরা জানান, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী জানুয়ারি মাস থেকে অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে যায়নি। অসুস্থ ওই ছাত্রীর জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে করা হবে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) মীর শরিফুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনা জানা মাত্রই অভিযুক্ততে আটক করতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। ছাত্রীটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন

মন্তব্য করুন