জেলার সোনাগাজীতে বিএনপির কতিপয় সন্ত্রাসী চাঁদা না পেয়ে ললিত মোহন দাসকে (৫০) বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চরসাহা ভিকারী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চরসাহা ভিকারী গ্রামের বসন্ত কুমার দাসের পুত্র ললিত মোহন দাস সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ভয়ে কিছুদিন আগে থেকেই বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ললিত তার বসতবাড়িটি এক প্রতিবেশীর কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। বাড়ি বিক্রি খবর পেয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে স্থানীয় বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসী আজাদ, আবু, তাহের ও বেলালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ললিতের বাড়িতে আক্রমণ করে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা আহত ললিতকে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য এবং এ ঘটনা যেন স্থানীয় প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতাদেরকে জানানো না হয় তার জন্য পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টায় শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ললিত মোহন তার বাড়িতেই মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই চরসাহা ভিকারী গ্রামের দাসপাড়া এলাকা সন্ত্রাসীদের পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সোনাগাজী থানা পুলিশ ললিত মোহনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, চরদরবেশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইলিয়াছ গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে ফেনী চলে আসেন। এর আগেও বিএনপি সন্ত্রাসীরা চরসাহা ভিকারী গ্রামের বেশ কিছু সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছে। আবার অনেকে চাঁদা দিতে না পারায় এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
ভোরের কাগজ, ২৯ ডিসেম্বর ২০০১