কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে শাহীন রেজা (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ভেড়ামারা উত্তর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহীন দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গঙ্গারামপুর গ্রামের নিহার মন্ডলের ছেলে ও দৌলতপুর কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার প্রবীর কুমার দেবনাথ বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ি গোয়ালন্দ ঘাটগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেনে কাটা পড়ে ওই কলেজছাত্র গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, মাথায় আঘাত পেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষণের ফলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে কলেজছাত্রের মৃত্যু নিয়ে দৌলতপুরের নিজ এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কলেজছাত্র শাহীন রেজার সঙ্গে তারাগুনিয়া শালিমপুর গ্রামের হামিদ আলীর মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে শুক্রবার ওই মেয়ে বাড়ি ছেড়ে ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মেয়ের বাবা দৌলতপুর থানায় বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ওইদিন বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে শাহীনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়েটির সন্ধান নেয়।
এরপর মেয়েটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখা হবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় অপমান সইতে না পেরে কলেজছাত্র শাহীন ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে নিহত কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।