মাগুরায় মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ (১৪) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে মসজিদের ভেতর ঘুমের মধ্যেই জবাই করে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ৫ জুলাই শুক্রবার ভোররাতে মাগুরা সদরের বাগবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া ওই কিশোর এখন মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রায়েছে।
হাবিবুল্লাহ মহম্মদপুর উপজেলার ধুপুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে। সে এক বছর যাবৎ বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছে।
হাবিবুল্লাহ’র সহপাঠী বাগবাড়িয়া দারুল কোরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী আল-আমিন জানায়, রাতে প্রচণ্ড গরমের কারণে হাবিবুল্লাহসহ তারা চারজন মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদের বারান্দায় ঘুমচ্ছিল। হঠাৎ রাত ৪টার দিকে হাবিবুল্লাহর চিৎকারে শুনে জেগে ওঠে দেখে হাবিবুল্লাহ’র চোয়ালে ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে রক্ত পড়ছে। এ সময় দ্রুত হাবিবুল্লাহ’র দুলাভাই (বোনের স্বামী) কিবলুর রহমানকে জানালে তিনি অন্যদের সহযোগিতায় হাবিবুল্লাহকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাবিবুল্লাহ’র পিতা আলতাফ হোসেন জানান, তার ছেলে গত এক বছর যাবৎ এই মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়ছে। কারো সঙ্গে তাদের কোনো সমস্যা নেই। কারা এ ধরনের কাজ করতে পারে তা তার জানা নেই।
মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডাক্তার অমর প্রসাদ বিশ্বাস জানান, হাবিবুল্লাকে মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার আঘাত গুরুতর হলেও বর্তমানে সে আশঙ্কা মুক্ত।
এ বিষয়ে মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কারণ উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে।