মাদারীপুরে প্রথম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে নাসির বিশ্বাস নামে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। ৮ এপ্রিল সোমবার রাতে শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি থেকে তাকে আটক করা হয়। নাসিরকে মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করেছে। আটক নাসির বরিশালের উজিরপুর হারুণ বিশ্বাসের ছেলে। সে তার বড় ভাই ইজিবাইক চালক রুবেলের সাথে থাকতো।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চরকমলাপুর গ্রামের এক আচার বিক্রেতা তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। সোমবার দুপুরে আচার বিক্রেতার মেঝো মেয়ে ছলেনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী বাড়ির পাশ্ববর্তী পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় একই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া রুবেল বিশ্বাসের ছোট ভাই নাসির বিশ্বাস (১৪) পুকুর পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল।

এ সময় স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে নাসির রশি দিয়ে তার হাত বেঁধে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি চেষ্টা করে হাতের বাঁধন খুলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি আসে এবং তার মা‘র কাছে ঘটনা খুলে বলে। পরে ধর্ষিতাকে শিবচর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিবচর থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাসিরকে আটক করে ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আটক নাসির বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারুন বিশ্বাসের ছেলে। সে তার বড় ভাই শেখপুর এলাকার অটো চালক রুবেলের ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় মামলা হয়েছে।

শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে নাসির ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটির সাথে কথা বলে ঘটনার বিবরণ শুনে নাসিরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।’

জনকণ্ঠ

মন্তব্য করুন