মাদারীপুরে  ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে। এতে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা ওই ছাত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার সময় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আ. রহমান দুই সন্তানের জনক।

 

জানা গেছে, মাদারীপুরের ঝাউদি এলাকার আ. রহমানের সঙ্গে পাচঁখোলা এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটিকে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুরান বাজার এলাকার হোটেল বৈশাখীতে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন রহমান। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। পরে মেয়ের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসলে সেখানে রহমানকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করে রাখে পুলিশ। পরে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তার দেয়া তথ্যমতে রহমানকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত আ. রহমান (৩০) ঝাউদি এলাকার আবেদ আলী আকনের ছেলে।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, যে আমার মেয়ের ক্ষতি করেছে আমি তার বিচার চাই। এমন যেন আর কারো মেয়ের সঙ্গে না ঘটে। আমি ওর ফাঁসি চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ধর্ষণের অভিযোগে আ. রহমান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সমকাল

মন্তব্য করুন