বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।

 

মারধরের শিকার দোকানির নাম শাহ আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের ক্যাম্পাস ফুড কর্নারের সত্ত্বাধিকারী। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম শেখ সিয়াম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং একই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।

শেখ সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু অনুসারী। মারধরের সময় সিয়ামের সঙ্গে আরও তিনজন ছিলেন বলে জানা যায়। তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায় নি।

ভুক্তভোগী দোকানি আলম জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার দোকানের সামনে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের এক নেতা তার দোকানে বাকিতে সিগারেট নিতে যান। তিনি বাকিতে সিগারেট দিতে অসম্মতি জানালে ওই নেতা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের চার কর্মী এসে তাকে দোকানের ভেতর নিয়ে যান।

আলম বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিশু ভাইকে চিনিস উল্লেখ করেই আমাকে চড়-থাপ্পড় দেন। কেউ যাতে না দেখতে পারে তাই মারধরের সময় দোকানের গ্লাস টেনে দেন তারা। মারধরের বিষয়টি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুকে জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ সিয়ামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু বলেন, এক ছোটভাইকে আলমের দোকানে চা ও সিগারেটের জন্য বলতে বলি। এতে আলম তার কাছে অগ্রিম টাকা চায়। সে ফিরে এসে আমাকে বিষয়টি জানায়। তখন আমি আলমকে এসে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের বলতে বলি। এসময় তারা গেলে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি ও সভাপতি গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঠিক করে দিয়েছি।

সমকাল

মন্তব্য করুন