হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের মানবিক বিয়ে সংক্রান্ত একটি সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

 

শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত জাহানুর আহমদ মনির সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি উপজেলার সুখাইর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলীর ছেলে।

হেফাজত নেতাকর্মীদের হামলায় আহত কলেজছাত্র জাহানুর আহমদ মনির জানান, গত ২ মে তিনি হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের একটি সংবাদ তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার আইডি থেকে শেয়ার করেন। শেয়ারের পরই তার নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গণির ছেলে বাবুপুর মহিলা মাদরাসার শিক্ষক ও উপজেলা হেফাজত নেতা মাওলানা এমদাদুল হক, রংপুরহাটি গ্রামের বাসিন্দা মো. সুলেমান উদ্দিনের ছেলে ও রাজাপুর মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা সাইদুর রহমান নোমানি এবং রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজু আহমদের ছেলে সুলতান আহমদসহ কয়েকজন তাকে নাস্তিক ও ধর্মবিদ্বেষী আখ্যায়িত করে হুমকি-ধমকি দেয়। তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে চলে আসেন তিনি। ভয়ের কারণে গত ঈদেও বাড়িতে যাননি।

শুক্রবার তার বড় ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে চুপি চুপি বাড়ি যান তিনি। এই খবর পেয়ে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা সাইদুর রহমান নোমানি এবং রহমতপুর গ্রামের সুলতান আহমদসহ হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে রাজাপুর বাজারে মনিরের ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে একই উপজেলায় মামুনুল হকের মানবিক বিয়ের একটি সংবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করেছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের চাচা ও তার চাচাতো ভাই। উল্টো তাকে হাতকড়া পরিয়ে ক্ষমা চাওয়ায় পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার ওসিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। হামলাকারী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে ধার্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী বলেন, আমি শুনেছি রাজাপুর বাজারে সমস্যা হয়েছে। এখনো মূল ঘটনা জানতে পারিনি। তবে তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন