ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভাটগাঁও গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায়।
এই ঘটনার পরে তিন দিন অচেতন থাকার পর সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্ঞান ফিরে এলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেয় ধর্ষণের শিকার ছাত্রী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের সহজ সরল পরিবারের সদস্য গোয়ারী দারুছ্ছুন্না দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী প্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে কবির হোসেন ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে তাকে তার মার (কবিরের মা) কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। ভিকটিম কবিরদের বসত ঘরে ঢোকার পর কবির ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয়ে ভিকটিমের মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় কবিরের মা বাড়িতে ছিলেন না।
উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন করার পর ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে নারিন্দি খালের ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়। সন্ধ্যার পর ওই এলাকার আছমত আলীর ছেলে মোখলেছুর রহমান রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মেয়েটির আর্তনাদের শব্দ পেয়ে ঘটনাটি পাশের একটি দোকানে গিয়ে বর্ণনা দেন। এ সময় দোকানে উপস্থিত লোকজনসহ লাইট নিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে মেয়েটির বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে তিন দিন অচেতন থাকার পরে সোমবার সন্ধ্যায় জ্ঞান ফিরলে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটির বাবা বলেন, প্রথমে আমরা বুঝতেই পারি নাই আমার মেয়ের কি হয়েছে। তার জ্ঞান ফেরার পর সে সবকিছুর বর্ণনা দিলে আমরা জানতে পেড়েছি।
ভালুকা মডেল থানার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।