তিন দিনের ব্যবধানে রংপুরের তারাগঞ্জে দুটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়া ও কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়া গ্রামের মঙ্গল দাস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে পাটকাঠি দিয়ে ঘেরা রাঁধা-কৃষ্ণ মন্দিরে প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে মঙ্গল দাসের স্ত্রী আরতী রানী দাস মন্দির পরিষ্কার করতে গিয়ে মন্দিরে থাকা কৃষ্ণের প্রতিমার দুই হাতের কবজি ও আঙুল ভাঙা দেখতে পান। খবর পেয়ে হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মদ, রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিফাত-ই-রব্বান সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়া গ্রামের জীবন রায় তাঁর বাড়ির উঠানে মনসা মন্দিরে প্রার্থনা করে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে তাঁর স্ত্রী শিল্পী রানী মন্দিরটি পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখতে পান মনসা প্রতিমাটি বেদিতে উল্টে পড়ে আছে। প্রতিমার মাথার কিছু অংশ ভাঙা। এ ঘটনায় জীবন রায় বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
জানতে চাইলে তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘দক্ষিণ নারায়ণজন জেলেপাড়ার ঘটনায় মঙ্গল দাসের ছেলে রঞ্জন দাস প্রতিবেশী মদন দাস ও গোপাল দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিসামত মেনানগর বানিয়াপাড়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই ঘটনাস্থলেই রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্যার সিফাত-ই-রব্বান পরিদর্শন করেছেন।