তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর বনানীর সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক জহুরুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সুমন কুমার দাস আসামি জহুরুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি রাত দুটায় রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার বাসা থেকে জহুরুলকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ঢাকার ৯ নং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জহুরুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি উত্তরা পশ্চিম থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট মামলার বাদীর সঙ্গে আসামি জহুরুল ইসলামের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি জহুরুল বাদীকে তার কোম্পানিতে চাকরির প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট আসামি জহুরুল বাদীকে সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির একটি নিয়োগপত্র প্রদান করেন। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর বাদী জহুরুলের পরিচালনাধীন সুইফট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে যোগদান করেন। চাকরিকালীন সময়ে আসামি জহুরুল বাদীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হলে বাদীকে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেন। পরবর্তীতে জহুরুলের কোম্পানিতে চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নেন বাদী। এরপর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে পদত্যাগপত্র নিয়ে গেলে আসামি জহুরুল তাকে ধর্ষণ করে।