লালমনিরহাটে বদিয়ার রহমান (৫০) নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় গুরুতর আহত হওয়ায় বদিয়ার রহমানকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
২৯ জুলাই বুধবার রাত ৮টার দিকে লালমনিরহাট জেলা শহরের তালুক খুটামারার বানভাসা মোড় এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক বদিয়ার রহমান দৈনিক মানব বার্তা পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বদিয়ারের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (৪০)। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সংঘবদ্ধ ও চিহ্নিত ৮-১০ জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (৪০) ও ছেলে সোহানুর রহমান শিশিরকে (২১) বাসার সামনেই বেদম মারধর করতে থাকে। ছোট ভাই ও ছেলেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা বদিয়ারকেও মারধর করে ও ধারাল ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। বদিয়ারের আত্মচিৎকারে তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৪৪) ছুটে গিয়ে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি ঘটায় সন্ত্রাসীরা।
একইসঙ্গে সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগী সাংবাদিকের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান এবং সাংবাদিক বদিয়ারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সাংবাদিকের ছোট ভাই, স্ত্রী ও ছেলে বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম থানায় করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার পকেট থেকে ব্যবসার ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কেন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। অজ্ঞাত কোনো শত্রুতার জের ধরে তারা হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গোকুল রায় বলেন, ‘সাংবাদিক বদিয়ার রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর একটি ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। পুলিশ এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা সাংবাদিকরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’