ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ৭টি দেশের কূটনৈতিকগণ গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে নির্বাচন শেষে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এধরনের ঘটনা অব্যাহত থাকলে নতুন সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে যা অর্জন করেছে সে সব ম্লান হয়ে যাবে। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দেশের দু-একটি স্থানে বিশেষ মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এসব ঘটাচ্ছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রালয় সূত্রে একথা জানা গেছে। সূত্র জানায়, ব্রিটেন, জার্মানী, ইটালী, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন ও ইংল্যান্ডের কূটনৈতিকগণ গতকাল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার দফতরে দেখা করে প্রায় এক ঘন্টা আলোচনা করেন। এসময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান ও পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মহসীন আলী উপস্থিত ছিলেন। কূটনীতিকগণ বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর সরকারী দলের সমর্থকদের হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সাভারসহ কয়েকটি স্থানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্যাতন হয়েছে। সরকার যদি এখনই এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে না পারে তবে নির্বাচনের মাধ্যমে যে ভাবমূর্তি অর্জন করেছে তা ম্লান হয়ে যাবে। কূটনীতিকগণ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে সরকারী দলের সমর্থকদের ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ঘটনার কথাও তুলে ধরেন। এ সময় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেন যে, নোয়াখালীতে ডেনমার্কের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদেরকে চাঁদার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা চাঁদা না পেলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।
যুগান্তর, ১৯ অক্টোবর ২০০১