সিলেটের বিশ্বনাথে তিন মাস ধরে ১৬ বছর বয়সি মাদরাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী উপজেলার মুফতিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা সদরের আলিয়া মাদরাসার ছাত্রী। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ধর্ষিতা বাদী হয়ে একমাত্র ধর্ষককে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৫।

মামলার দায়েরের পরপরই ওই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক হোসাইন আহমদ (২৪) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার বুরাইয়া গ্রামের আবদুল মালিক। হোসাইন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথের মুফতিরগাঁও গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। সে একজন প্রাইভেট কার চালক। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত হোসাইন আহমদকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, বাদী উপজেলা সদরের আলিয়া মাদরাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। বাদীর ভাই একজন অটোরিকসা (সিএনজি) চালক। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত হোসাইন আহমদের বন্ধুত্ব সর্ম্পক ছিল। এর সুবাধে অভিযুক্ত কার চালক বাদীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত হোসাইন আহমদের সঙ্গে মাদরাসা ছাত্রীর প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত ৫ সেপ্টেবর রাতে মাদরাসা ছাত্রীর বসতঘরে অভিযুক্ত প্রবেশ করে।

এ সময় অভিযুক্ত হোসাইন আহমদ বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে বাদীকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার গত ১১ নভেম্বর পর্যন্ত ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি বাদীর পরিবারের সকলের মধ্যে জানাজানি হলে অভিযুক্ত বাদীর পরিবারকে জানায় সে বাদীকে বিয়ে করব। কিন্তু পরে সে বিয়ে করতে টালবাহান শুরু করে। বর্তমানে বাদী তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

ধর্ষণ মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সূত্র

 

মন্তব্য করুন