নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার চার সদস্যের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা হলেন- মো. ইলিয়াছ নাহিদ (৪০), নুরুন্নবী ইসলাম (২৫), মো. শাহজালাল (৩৬) ও সামিনুর রহমান সুমন (২৫)।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় তুরাগ থানার দিয়াবাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে সিটিটিসির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান হোসেন বলেন, আনসার আল ইসলামের হয়ে অর্থ সংগ্রহ ও সংগঠনের কারাবন্দি সদস্যদের জামিনের জন্য কাজ করতেন গ্রেফতারকৃতরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মতবাদ বিরোধীদের চিহ্নিত করে হত্যার পরিকল্পনাও করতেন। এছাড়া রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন তারা।
গ্রেফতারদের মধ্যে নুরুন্নবী ইসলাম টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর থেকে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল এবং সাভার সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন। ইলিয়াছ নাহিদ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। গ্রেফতার নুরুন্নবী ও ইলিয়াছ গাজীপুর এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। অপর গ্রেফতার শাহজালাল গাজীপুর এলাকায় একটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করতেন। আর সামিউর রহমান সুমন ঢাকার যাত্রাবাড়িতে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত।
তারা প্রত্যেকেই মূলত নিজেদের পেশার আড়ালে আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করে আসছিলেন বলেও জানান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান হোসেন।