চট্টগ্রামের পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে বলছে, এই ব্যক্তি সিরিয়াফেরত একজন জঙ্গি, যিনি আইটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করতেন।
সাখাওয়াত আলী নামে এই ব্যক্তি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, চার বছর আগে যুদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন সাখাওয়াত আলী। গত মার্চ মাসে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। গোপন সংবাদে শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের দক্ষিণ খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে দক্ষিণ খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সিএমপি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শাহ মোঃ আবদুর রউফ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, গত ২২শে মার্চ সাখাওয়াত আলী বাংলাদেশে আসেন।
এরপর থেকে তার ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। শুক্রবার দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলে হাদিস জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকালীন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাতে থাকা ব্যাগসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে একজন আত্মীয়ের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হন সাখাওয়াত।
সংগঠনের নেতা চাকরীচ্যুত মেজর জিয়াসহ অন্যদের মাধ্যমে দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর সদস্যদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে বিভিন্ন প্রকার জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিয়োজিত ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে যান।
তুরস্ক হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করে দীর্ঘ ছয় মাস ভারী অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার “ইদলিব” এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে সে সিরিয়া হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেন।
এরপর ইন্দোনেশিয়া থেকে শ্রীলংকা গিয়ে, আবার ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে এসে বসবাস করতে থাকেন। সেখানেও তিনি জিহাদি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সর্বশেষ ২২শে মার্চ তিনি বাংলাদেশে এসে জিহাদি কার্যক্রম শুরু করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।