বরগুনার আমতলীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চারদিনেও স্কুলছাত্রীকে না পেয়ে সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বাদুরা গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে ইসরাফিল। ইসরাফিলের বাবা মনির মা শাহিনুর ও ভাই শাকিল।
জানা যায়, আমতলী উপজেলার একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আসামি ইসরাফিল স্কুলছাত্রীকে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছে। স্কুলছাত্রীর বাবা নিষেধ করা সত্ত্বেও ইসরাফিল নিবৃত হয়নি। নিত্যদিনের মতো স্কুল ছুটির পর বাড়িতে আসার পথে বাবুল ঘরামির বাড়ির পাকা রাস্তার ওপর পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সব আসামিরা ৩টি মোটরসাইকেলে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। চারদিনেও স্কুল ছাত্রীর খোঁজ মেলেনি।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে নিয়েছে। আসামি আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামিরা আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করতে পারে। অজ্ঞাত একটি ফোন দিয়ে আমাকে বলেছে আপনার মেয়েকে ইসরাফিল আটক রেখে ধর্ষণ করতেছে। আমি আমতলী থানায় ২৪ অক্টোবর মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেয়নি। আমার মেয়ে এখনও আসামিদের কাছে আছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার যুগান্তরকে বলেন, এই ঘটনায় আমতলী থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। কেহ মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও আদালতের আদেশ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।