তৈরি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করার এক দিন পর হাসপাতালে মারা যায় ধর্ষিতা। ঘটনাটি ঘটেছে শিল্প অঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায়। ওই ঘটনার মূল আসামী ও একই কারখানার লাইন চিফ রিপনের (৩৯) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।তার সঙ্গে মরদেহের গলায় একটি কাগজে ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’ খেলা একটি চিরকুট পান তারা।
নিহত রিপন ঝিনাইদাহ জেলার কালিগঞ্জ এলাকার লতিফের ছেলে ও আশুলিয়া এলাকায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি খালি মাঠে এক ব্যক্তির মরেদহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি সাভার মডেল থানায় অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা একটি কাগজে ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামী” লিখা একটি কাগজ পাওয়া য়ায়।
নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা পরিচয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা তাকে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, নারী শ্রমিকের গণধর্ষণের একদিন পর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত শ্রমিকের বাবার দায়ের করা মামলার মূল আসমি রিপন। তিনিও রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ, গত ৭ জানুয়ারী (সোমবার) আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের একদিন পর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত (৫ জানুয়ারি) শনিবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিশোরী। এ সময় স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইন চিফ রিপনসহ পাচ বখাটে তার পথের গতিরোধ করে কারখানার পেছনে একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে।