ঢাকার আশুলিয়ায় ঘরে ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মো. সাগর (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী সাব্বিরসহ আরও এক সহায়তাকারী পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায়।
এরআগে সোমবার (১২ জুলাই) রাত ১২টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার শান্তিনগরের সেলিমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। সাব্বির ঘরে প্রবেশ করলে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করে সাগর।
আটক সাগর বাইপাইল শান্তিনগর এলাকার সেলিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ভুক্তভোগী নারীসহ অভিযুক্ত সাব্বির, সাগর ও আসমা বেগম একই বাড়িতে থাকতেন। সাব্বির ও সাগরের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি। তবে আসমা আশুলিয়ার শান্তিনগর এলাকার মো. সেলিমের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুলাই বিকেল তিনটার দিকে সাব্বির একই বাসার ভাড়াটিয়া ভুক্তভোগী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর কাছে আগুন জ্বালানোর গ্যাসলাইট চায়। গ্যাসলাইট দেওয়ার জন্য ওই নারী ঘরে প্রবেশ করলে তার সাথে সাব্বিরও প্রবেশ করে এবং কি রান্না করেছেন তা জানতে চায়। এসময় বাহির থেকে সাগর ঘরের দরজা লাগিয়ে দিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সাব্বির। পরে ঘরের ভিতর থেকে সাব্বির দরজা খোলার জন্য দরজায় শব্দ করলে দরজা খোলে সাগর। এসময় ঘর থেকে বের হয়ে যায় সে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাজ থেকে বাসায় ফিরলে তার স্ত্রী সব খুলে বলেন। পরে স্ত্রীসহ ৩ নম্বর অভিযুক্ত আসমা বেগমকে বিষয়টি জানালে সাব্বির, সাগর ও আসমা খারাপ আচরণ করে। এদিন রাত ১১টার দিকে তার স্ত্রীসহ তাকে মারধর করে। সাব্বিরের সাথে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাসা ছেড়ে যেতে বলেন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে আজ রাতে সাগরকে আটক করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় জানান, অভিযোগ দায়েরের পরপরই একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে। একইসাথে ভুক্তভোগী ওই নারীকে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।