নীলফামারীর সৈয়দপুরে উত্তরা ইপিজেডের এক নারী কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
থানায় মামলার সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা আবাসনের ৭/৫ নম্বর বøকের বাসিন্দা সুলতান। তার মেয়ে (১৬) নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের একটি কারখানায় কর্মী হিসেবে সদ্য যোগদান করে। ঘটনার দিন গত ১৩ জানুয়ারি (শনিবার) সে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড কর্মস্থল থেকে ফিরে খাওয়া দাওয়া শেষে কোয়ার্টারের রাস্তায় হাটাহাটি করছিল। এ সময় একই আবাসনের বাসিন্দা শুকুর আলী ছেলে মো. সবুজ (১৭) এসে ইপিজেডের ওই নারীকর্মীর সঙ্গে প্রথমে কথাবার্তা বলতে থাকে। পরবর্তীতে সবুজ ফুঁসলিয়ে তাকে পূর্ব বোতলাগাড়ী দোলাপাড়ার মজিবর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মজিবর রহমানের ছেলে মোজাহারুল ইসলাম বেঙ্গু (২৯) ও সবুজ মিলে ইপিজেড কর্মীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সবুজ পুনরায় তাকে বাইসাইকেলে করে তাদের কোয়ার্টারের সামনে নামিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা সুলতান আলী বৃহস্পতিবার বাদি হয়ে দুইজনকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।