মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (২১) নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। ২১ জুলাই বুধবার বিকেলে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মনছড়া বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

সুমন একই এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আনফর আলী (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মনছড়া জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাতে ইমামের খুতবা নিয়ে সুমন মিয়াদের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আনফর আলীদের পক্ষের লোকজনের বিরোধ হয়। বিকেল চারটার দিকে সুমন স্থানীয় গাজীপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালান। প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সুমন গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। রাতে সুমনের বাবা মতিন মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের আনফর আলী, সিদ্দেক মিয়া, আবদুল মালিকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নম্বর আসামি আনফরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় ২২ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ঈদের জামাতে ইমামের খুতবা নিয়ে স্থানীয় দুটি পক্ষের লোকজনের বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত সুমনের তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ মৌলভীবাজার সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আনফরকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রথম আলো

মন্তব্য করুন