কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ ও ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ এপ্রিল পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

২ মে রবিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি এমএ মোনাফ সিকদার বলেন, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ বাংলাদেশ আওয়াামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মী হই। আমরা রাজনীতির পাশাপাশি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।

গত ২৮ এপ্রিল সদর থানায় রুজুকৃত মামলায় আমাদের অহেতুক এজাহারভূক্ত আসামি করা হয়েছে। ১নং আসামি শফিক খাঁন নামক আইডি থেকে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমানের নামে বিভিন্ন মানহানিকর ও অনৈতিক পোষ্ট প্রচার করা হয়েছে। ওই আসামি শফিক খাঁন নামে একটি ফেইসবুক আইডি’র সঙ্গে আমাদের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা সংযুক্ত ১নং আসামির কোন পোষ্টে লাইক, কমেন্ট কিংবা শেয়ার করিনি। ঐ বিতর্কিত ফেইসবুক আইডি কে চালায় তাও আমরা জানি না। অথচ বিতর্কিত ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস মেয়র মুজিবুর রহমানের যোগসাজসে প্রতিপক্ষের নিকট হতে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের হয়রানি করে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এহেন জঘন্য মামলায় মিথ্যাভাবে এমএ মোনাফ সিকদার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা সিনিয়র সহসভাপতি ওবাইদুল হোসেন ও শহরের গাড়ির মাঠ এলাকার ব্যবসায়ী গুরা মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।

সদর মডেল থানার বিতর্কিত ওসি শেখ মুনির উল গীয়াসের অপকর্মের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নেতৃবৃন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি-ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

জনকণ্ঠ

মন্তব্য করুন