কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক পথশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবক আটক হয়েছেন।

 

৩০ এপ্রিল শুক্রবার ভোরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন জেলা পরিষদের পার্কে এই ঘটনা ঘটেছে বলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানিয়েছেন।

বিকালে স্থানীয়রা তিন যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে; এই তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার আসাসিরা হলেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়াখালীর প্রয়াত কামাল হোসেনের ছেলে মো. আরিফ (২৭), টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের ছেলে মো. রাশেদ (২২) এবং কক্সবাজার শহরের সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সীগ্যাল পাড়ার আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. জুয়েল (১৮)।

নয় বছর বয়সী শিশুটিকে উদ্ধারের পর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট এলাকায় এক শিশুকে রক্তাক্ত দেখতে পায় ‘নতুন জীবন’ নামের স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। এই সময় শিশুটি তাদের কাছে ‘ধর্ষণের’ ব্যাপারে বলে।

“এতে নতুন জীবনের কর্মীরা শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্র সৈকতের পৃথক তিনটি স্থান থেকে তিন যুবককে ধরেন। পরে পুলিশে দেন।”

ওসি মুনীর-উল-গীয়াস জানান, এই ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাত ৮টায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নতুন জীবন’র সদস্য মো. জোবাইর হোসেন বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

‘নতুন জীবন’ সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, চলমান লকডাউনের কারণে কক্সবাজার শহরের ছিন্নমূল ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা খাদ্যসহ নানা সংকটে রয়েছে। শুক্রবার বিকালে লাবণী পয়েন্ট এলাকায় অবস্থানকারী এসব শিশুর খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে যান সংগঠনের কর্মীরা। এই সময় এক কন্যাশিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।

শিশুটির বরাত দিয়ে ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট সংলগ্ন জেলা পরিষদ পার্কের ভিতরে জঙ্গলে নিয়ে শিশুটিকে তিন যুবক ধর্ষণ করে।

ওমর ফারুক জানান, শিশুটির মা মারা যাওয়ার পর থেকে পরিবারে সৎ মা নির্যাতন চালাত। এক পর্যায়ে সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কক্সবাজার শহরে ভবঘুরে জীবনযাপন করছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

মন্তব্য করুন