কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব, কিরাটন ফাযিল মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক ও জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী (৬০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ আগস্ট রোববার রাতে গ্রেপ্তারের পর সোমবার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল আফসার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং আগামী ১২ই আগস্ট রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য্য করেন। ছাত্র ধর্ষণে অভিযুক্ত মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী উপজেলার মাদারীখলা গ্রামের মৃত আবাল হোসেনের ছেলে। সুকণ্ঠের অধিকারী ইসলামি বক্তা মাওলানা আজমীর বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ শোনা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার রাতে মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম হাজী নূর মোহাম্মদ আজমীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তিনি অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু রিয়াদ বিষয়টি তদন্ত করেন। তাতে বলা হয়, মাওলানা আজমী শিশুটিকে (১২) পাশবিক নির্যাতন করলে সে তার পিতার নিকট ঘটনা খুলে বলে। অভিযোগকারী মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা একজন ইজিবাইক চালক।
শিশুটি উপজেলার জাফরাবাদ ইউনিয়নের ফাতিমানগর ঈশা খাঁ মোড়ে প্রতিষ্ঠিত মাওলানা আজমী ও তার জামাতা খালেদ সাইফুল্লাহর পরিচালিত জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে নাজেরা বিভাগে পড়তো। এক বছর আগে শিশুটিকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় সময়েই মাদ্র্রাসার অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ আজমী শিশুটিকে তার কক্ষে নিয়ে যেতেন এবং কথাবার্তা বলতেন। বিষয়টিকে শিশুটির পিতা শিক্ষকের স্নেহ মনে করতেন। গত ৪ঠা আগস্ট সকালে মোবাইলে ফোন করে শিশুটি তার পিতাকে দ্রুত মাদ্রাসায় যেতে বললে তিনি মাদ্রাসায় যান। তখন শিশুটি তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। শিশুটি জানায়, বিভিন্ন প্রলোভনে নূর মোহাম্মদ আজমী তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারের পর আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১২ই আগস্ট রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।