করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের নিয়ে এবং প্রশাসনের সমালোচনা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৫ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেন।

 

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হচ্ছেন—ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) কাজী জাকিয়া ফেরদৌসী ও বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক (দর্শন) সাহাদাত উল্লাহ কায়সার।
দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আলাদা আদেশে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দফতর, সংস্থা সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ অবস্থায় আপনি আপনার ফেসবুক আইডি থেকে অনভিপ্রেত ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ও ছবি পোস্ট করেছেন, যা সরকারের চলমান সমন্বিত কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি অসদাচরণের কারণে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে আদেশে।

যা লিখেছিলেন দুই শিক্ষক

বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক (দর্শন) সাহাদাত উল্লাহ কায়সার গত ২১ মার্চ ফেসবুকে লেখেন, ‘করোনার ভয়ে চাকরি ছাড়ার সংবাদটা বুলগেরিয়ার। বাংলাদেশের ডাক্তার ভাইয়েরা আপনার নিজের জীবন আগে, তারপর আপনার পরিবার, ছেলে মেয়ে, স্ত্রী তারপর অন্যসব। যে দেশ আপনার পেশার মূল্যায়ন করে না সে দেশের জন্য কাজ করে কী হবে। সেখানে তিন দিনের ইউএনও ৫৫ বছরের একজন প্রফেসর ডাক্তারের নিয়ন্ত্রক থাকে, যে কি না ডাক্তারির ‘ডি’ ও জানেন ’।

অন্যদিকে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) কাজী জাকিয়া ফেরদৌসী তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘খা সব খেয়ে ফল (ফেল)। শিক্ষা খয়েছিস, ছাব্বিশটা ক্যাডার খেয়েছিস, সরকারকে খেয়েছিস, সরকারের সুনাম, অর্জন, স্বপ্ন সব খেয়েছিস। এবার পিপিই খা। সব তোরাই খা। আমাদের লাগবে না। মুখে মাস্ক দিয়ে বসে থাক সব নির্লজ্জ, রাক্ষসের দল। বিপদে পড়লে কোন অরক্ষিত ডাক্তারের কাছে যাবি না, যদি সামান্য লজ্জা থাকে। আর দেশের সবাই মরে গেলে নিজেরা ঝাড়ুদার ক্যাডারে এবজর্বড হয়ে যাস, আর সেলফি দিস’।

বাংলা ট্রিবিউন । বাংলা নিউজ

মন্তব্য করুন